কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের অসুস্থ মস্তু মিয়ার স্ত্রী হতদরিদ্র জহুরা খাতুন (৭০) অভিযোগ করে বলেন, ৪ জুলাই বুধবার সকালে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে সাহায্য তুলে ৮ শ টাকা নিয়ে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে। হাসপাতালের কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে তিনি চিকিৎসক (সেকমো) রাজেশ কান্তি দাসের নিকট গিয়ে রোগের বিস্তারিত বলার পর ওই চিকিৎসক ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধার নিকট ৮শ ৫০ টাকা দাবী করেন। ওই বৃদ্ধা অভিযোগ করে আরো বলেন, তিনি চিকিৎসক রাজেশকে বলেছিলেন, বাবারে আমার কাছে ৮ শ টাকা আছে। এখনো কিছুই খাইনি। নাতিকে নিয়ে বাড়ী যাবো কিভাবে? ১শ টাকা কম নেও। এ ভাবে আকুতি মিনতি করে ডাক্তারকে বলার পরও ডাক্তার তার নিকট থেকে ৮ শ টাকা নিয়ে তাকে বাহিরে গিয়ে বসতে বলে। পরে তাঁকে কোন ইনজেকশন না দিয়ে ওই ডাক্তার হাসপাতাল থেকে চলে যায়। বহু খোঁজাখুজি করে ডাক্তার রাজেশকে হাসপাতালের কোথাও না পেয়ে ওই বৃদ্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের নিকট অভিযোগ করার পর চাপের মুখে চিকিৎসক (সেকমো) রাজেশ কান্তি দাস তার প্রতিবেশী ছোট ভাই সানীর (১৬) মাধ্যমে বৃদ্ধার ৮ শত টাকা ফেরৎ দেয়।
এ ব্যাপারে সেকমো রাজেশ কান্তি দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে বৃদ্ধাকে নিকট থেকে ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলে ৮ শত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই বৃদ্ধার টাকা ফেরতৎ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চর্মরোগের চিকিৎসক না হয়েও সেকমো রাজে কান্তি দাস ওই বৃদ্ধার চিকিৎসা করে ও ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে ভুল করেছে। মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর বৃদ্ধার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।