মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ নতুন বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একক কর্তৃত্ব দেওয়ার সার্কুলার বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের সংগঠন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি।
শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সমাবেশে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমস্যার সমাধানে তার হস্তক্ষেপ কামনা করা, ২৮ অক্টোবর সব উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয়ভাবে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি, বেতনভাতা উত্তোলনের ক্ষেত্রে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পূর্বের নিয়ম অনুসরণ করা, ৫ নভেম্বর উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা।
৮ নভেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে। যে সব আমলা সরকারকে বিভ্রান্ত করছে, কর্মকর্তাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করছে তাদের বিরুদ্ধে। এই চক্রান্তকারীরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, অবশ্যই সফল হবে।’
সমাবেশে বলা হয়, ঘোষিত বেতন স্কেলে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া সব ক্যাডার ও সার্ভিসের কর্মকর্তারা মর্যাদা ও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সমাবেশে বিএমএর সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও বিসিএস সমন্বয় কমিটির সভাপতি কবির আহমেদ ভূইয়া, প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মো. ফিরোজ খান, বিএমএর মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মহাসচিব মো. মোবারক আলী, সমন্বয় কমিটির প্রচার সম্পাদক স ম গোলাম কিবরিয়া, ডা. হাবিব-ই-মিল্লাত এমপি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, শিক্ষা ক্যাডারের সভাপতি অধ্যাপক নাসরিন বেগম, কৃষি ক্যাডারের সভাপতি তাসাদ্দেক আহমেদ, সড়ক ও জনপথ ক্যাডারের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, কৃষি ক্যাডারের মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, স্বাস্থ্য ক্যাডারের সভাপতি ডা. সেলিম রেজা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ক্যাডারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সম্মিলিত কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. শফিউল আজম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তাজুল ইসলাম তুহিন, ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি আতাউল মাহমুদ, সমন্বয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক ড. জি এম ফারুক ও যুগ্মসম্পাদক ডা. নাজমুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।