কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে উৎকোচ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলার রামদী ইউনিয়নের খালখারা কোনাপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র ১২ নং খালখারা কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি মোঃ দুলাল মিয়া বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক রামদী ইউনিয়নের ১২ নং খালখারা কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং রামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬১ নং সিন্ধুবানু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্লিপ উন্নয়ন কাজের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন শেষ হলে গত ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় ১২ নং খালখারা কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সহ সভাপতি মোঃ দুলাল মিয়া, ৯নং রামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বদরুজ্জামান ও ৬১ নং সিন্ধুবানু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কার্যালয়ে গিয়ে শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়েরের নিকট শ্লিপ উন্নয়ন কাজের বরাদ্দের টাকা চান। এ সময় শিক্ষা অফিসার তাদের নিকট স্কুল প্রতি ৩০% টাকা হারে ১২ হাজার টাকা করে মোট ৩৬ হাজার টাকা উৎকোচ (ঘুষ) দাবী করেন। উৎকোচের টাকা দিতে অস্বীকার করলে শিক্ষা অফিসার উন্নয়ন কাজের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা না করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দুলাল মিয়ার শার্টের কলারে ধরে অপমান অপদস্ত করে তাদের অফিস থেকে বের করে দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে উৎকোচ দাবীর কথা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন অভিযোগ কারীদের কেউ আমার নিকট আসেনি। উৎকোচ চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। এছাড়া ওই তিনটি বিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে কিনা নিয়ম অনুযায়ী এখন পর্যন্ত আমার নিকট কোন কাগজপত্র আসেনি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।