muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকা ফুটবলারদের বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ ফিফা সভাপতির

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া শিশু ফুটবলারদের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ জানালেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এছাড়া কিশোর ফুটবলারদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন তারকা ফুটবলাররা।

ইনফান্তিনো বলেন, ওয়াইল্ড বোর নামের ওই দলটিকে ১৫ জুলাইয়ের আগেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি। ফলে তারা বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে পারবে।

থাইল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আশা করছি কিশোর ফুটবলাররা সুস্থভাবে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে। তারা অতিথি হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত থাকলে ফিফা খুবই আনন্দিতবোধ করবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি ফাইনালে আপনারা উপস্থিত হতে পারবেন।

ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোন বলেছেন, আমি কিশোরদের অবস্থা নিয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি চাই তারা সুস্থভাবে বেরিয়ে আসুক।

জাপানের বিশ্বকাপ দল একটি ভিডিও টুইট করে বলেছে, ‘লেগে থাকো।’ ব্রাজিলের কিংবদন্তী রোনালদো বলেন, তারা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিশ্ব ফুটবল চায় তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক।

লিভারপুলের ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, ‘শক্ত হও। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি।’

২৩ জুন থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকাল ১১টা থেকে ১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ‘থাম লুয়াং নায় নন’ গুহায় প্রবেশ করেন। পরে প্রবল বৃষ্টিতে গুহার প্রধান প্রবেশপথ রুদ্ধ হলে তারা আটকা পড়ে। ২ জুলাই আটকে পড়া শিশুরা জীবিত আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটকে পড়া ১২ শিশু ফুটবলারের কেউই সাঁতার জানে না। উদ্ধারকারীরা যতটা সম্ভব পানি কমানোর চেষ্টা করছেন। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় আটকা পড়া ফুটবলারদের সাঁতরে আসতে হবে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে দুইজন করে উদ্ধারকারী থাকলেও সরু গুহা-পথ দিয়ে তাদেরকে একাই পার হতে হবে।

সামনের সপ্তাহে নতুন করে বৃষ্টিপাত শুরুর আগেই আটকা পড়া ফুটবলারদের বের করে আনাকে জরুরি বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। আর সেদিক বিবেচনায় নিয়ে এরইমধ্যে শিশু ফুটবলারদেরকে স্কুবা মাস্ক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, উদ্ধারে অভিযান চালানোর সময় এক ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) রাতে অভিযান চলার সময় অক্সিজেনের অভাবে সামান কুনান নামের ওই ডুবুরি মারা যান। তিনি থাই নেভি সিলের সাবেক সদস্য।
এর আগে আটকা পড়ে থাকা শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাতে তাদের কাছে পৌঁছান এক চিকিৎসক। সারারাত সেখানে কাটিয়েছেন তিনি। একজন নার্স ও চার সেনা সদস্যও তার সঙ্গে যান। চিয়াং রাই প্রদেশের গভর্নর বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সন্তানের মতো করেই আমরা ওদের খেয়াল রাখছি।’ কর্তৃপক্ষ বলছে, খাবার ও পানি পাওয়ার পর শিশুদেরকে মানসিক ও শারীরিকভাবে আগের চেয়ে সুস্থ মনে হয়েছে।

Tags: