muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কুলিয়ারচর

কুলিয়ারচরে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত, নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশের ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়ীঘর ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৭ জুলাই শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের কলাকূপা ও নন্দরামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায়, সংঘর্ষে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলাম কলাকূপা গ্রামবাসীর পক্ষে ও ছয়সূতী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সানু মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫) নন্দরামপুর গ্রামবাসীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষে সাগর মিয়া (১৬), মফিজ উদ্দিন (৭০), শাহ আলম (৩২), আবেদা (৫৫), পলাশ (২৫), সিজান (২২), পাভেল (২৫) নজরুল (৩৫), হাদীস (১৬), বাকি বিল্লাহ( ২৫), রোখসানা (৩৫), বাচ্চু মিয়া (৪৫), রফিকুল ইসলাম (২৫) ও চেয়ারম্যানের পক্ষে কামরুজ্জামান খোকন (৩৮), পরাগ (২৫), আব্দুস ছালাম (৫৫) ও শাহজালাল (৩০) সহ উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়। গুরুতর আহতদের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে কুলিয়ারচর ও ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

জাহাঙ্গীর পক্ষের মোস্তফা কামাল (৫০) অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে কলাকূপা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে আমাদের নন্দরামপুর গ্রামে প্রবেশ করে আব্দুল মালেক ও আলামিনের ঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করে। হামলা কারীরা সাদ্দামের দুই কানি ফলন্ত কলাবাগান, ফাইজ উদ্দিনের ও জসিমের আম, পেয়ারা ও লেবু বাগান কেটে ব্যাপক ক্ষতি করে । এ ছাড়া আমার, দিলু ও খোকনের খড়ের গাদায় আগুণ ধরিয়ে দেয়। অপরদিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে কামরুজ্জামান খোকন অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীরের লোকজন তাদের গ্রামে হামলা করে বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনার পর চেয়ারম্যান মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলাম স্টোক করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।

সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজ, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লা ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লা ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বর্তমানে ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Tags: