তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষের জের ধরে এক গ্রামে হামলা, বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৮ জুলাই রবিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের নন্দরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায়, গত ৭ জুলাই শনিবার রাস্তা নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলামের সাথে ছয়সূতী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সানু মিয়ার কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে নন্দরামপুর ও কলাকূপা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে দু’গ্রামে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এঘটনার সংবাদ পেয়ে কুলিয়ারচর ও ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নন্দরামপুর গ্রামের সানু মিয়ার পুত্র খুুর্শেদ আলম (২৫), একই গ্রামের মেনু মিয়া (৫৫) ও মোজাম্মেল হায়দার (৪৫) অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পক্ষের মৃত আলমাছ মিয়ার পুত্র আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সানু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা নং-০৪(৭)১৮ ইং দায়ের করার পর পুলিশের ভয়ে নন্দরামপুর গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে কলাকূপা গ্রামের
মহসিন, আহাদ ও মনির হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রাদী নিয়ে নন্দরামপুর গ্রামে হামলা চালায়। হামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সানু মিয়ার লেপ তোষকের কারখানা সহ ৩টি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে।
এছাড়া মধু মিয়া (৫০),মাসুদ মিয়া (৩৫) হানিছ মিয়া (৫৫),মামুন (৩৫), আক্কাছ (৪৫),হানিফ মিয়া (৬০),মেনু মিয়া (৬৫),সাদেক
মিয়া, মস্তু মিয়া (৬০),নাজিম উদ্দিন (৫৫), আলেক মিয়া (৪৫),ইয়াসিন (৫৫),নয়ন, রফিক (৬০) ও আনু মিয়া (৬০) সহ প্রায় ২০/২৫ জনের বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এ সময় হামলা কারীরা অন্তত ১০টি ঘর সহ বেশ কয়েকটি খড়ের গাধায় অগ্নি সংযোগ করে। সংবাদ পেয়ে ভৈরব ও কুলিয়ারচর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার স্থলে এসে দীর্ঘ ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লার সাথে যোগাযো করা হলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু’গ্রামে দাঙ্গাপুলিশ সহ কুলিয়ারচর ও ভৈরব থনাা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।