muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

সম্পাদকীয়

বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতির পড়াশুনা ও শিক্ষকগণ: অধ্যাপক শরীফ সাদী

sharif sadi
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ আমরা যারা স্কুল/কলেজে শিক্ষকতা(?) করছি তারা সকলেই traditional পদ্ধতিতে পড়াশুনা করে ডিগ্রি লাভ করেছি। বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতির সাথে আমাদের পুরোনো প্রজন্ম পরিচিত নয়। সৃজনশীল পদ্ধতি নি:সন্দেহে আধুনিক, যুযোপযোগী, বিজ্ঞানমনস্ক।

ভবিয্যত প্রজন্মকে বিশ্বমান উপযোগী creative generation হিসাবে গড়ে তুলতে এ পদ্ধতির বিকল্প নেই, জুরি নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা কিংবা উদ্ভাবনী শক্তি গড়ার লক্ষে এ পদ্ধতির পড়াশুনা আমাদের সময়ের চে’ অনেক progressive।

কিন্তু সমস্যা আছে আমাদের মধ্যে, অর্থাৎ শিক্ষকদের মধ্যে। সৃজনশীল পদ্ধতির উপযোগী শিক্ষক ক’জনক আছেন? বর্তমান সময়ে ক’জন পড়াশুনা করেন? বেশির ভাগ শিক্ষক পড়াশুনা তো করেনই না বরং বলেন ‘পড়াশুনা করবো কেন? পড়াশুনা করেই তো শিক্ষকতায় এলাম, এখন পড়াবো।’

কিন্তু সৃজনশীল পদ্ধতির ভালো শিক্ষকদের প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। যিনি ভালো শিক্ষক তাকে ছাত্রের চে’ বেশি পড়তে হয়। শুধুমাত্র subject/topic/chapter-এ সীমাবদ্ধ পড়াশুনার সুযোগ একেবারেই নেই। Subject related অনেক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে ক্লাসে যেতে হবে। কিন্তু কই’ উঁ-হুঁ-হ্, তেমন শিক্ষক কই? কেউ পড়ে না। খুব কাছ থেকে দেখছি তো। পড়েনা, বরং পড়ার চে’ বেশি ব্যস্ত ব্যবসায়। টাকা রোজগারের ব্যবসায় নিয়োজিত। সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্ন প্রণয়ন সহজ নয়। উদ্ভাবনী চিন্তায় মাথা খাটিয়ে প্রশ্ন তৈরি করতে হয়, সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। কিন্তু তা করছেন না শিক্ষকগণ। এ কারণে মার খাচ্ছে শিক্ষার্থীগণ।

ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সরকারের সৃজনশীল পদ্ধতির সাফল্য।

২৬/১০/২০১৫ইং /নিঝুম

Tags: