মিথ্যা তথ্য ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ সালের ২৬(২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় তিন বছর করে ছয় বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে দুই ধারায় সাজা এক সাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।
সাবিরা সুলতানা পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন সাবিরা সুলতানাকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন। ২০০৯ সালের ২৪ মে তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। বিবরণীতে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা সম্পদের বিষয় ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়াও তিনি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৩৫ টাকার সম্পত্তি অসাধুভাবে অর্জন করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২০ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পাঁচ দিন পর তার বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেন। মামলায় ৯ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।