muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কুলিয়ারচর

“ফেইসবুকে ভাইরাল” : কুলিয়ারচরে শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্র বলৎকার

গত ১২ জুলাই বিকেল ৪.০৮মিনিটে Our Kuliarchar – আমাদের কুলিয়ারচর নামক একটি ফেইসবুক পেইজে কুলিয়ারচরে শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্র বলৎকার ও বিকাল ২.০২ মিনিটে নদীর ধারে বাড়ি ফেইসুবকে একটি শালিসে এক যুবক ১০০ বার কান ধরে উঠবসের চিত্র ভিডিও করে পোষ্ট করার পর বিষয়টি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে পরে। Our Kuliarchar এ উল্লেখ করা হয়েছে কুলিয়ারচরের গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর (নজের বাড়ি) এক সুন্নী ইসলামি প্রাইভেট শিক্ষকের হাতে ছাত্রের বলৎকারের ঘটনা ঘটে। ঐ ছাত্র প্রতিদিনের ন্যায় শিক্ষক মিজানের কাছে সুন্নী ইসলামীর শিক্ষার জন্য গেলে তাকে বলৎকার করে। পরে বিষয়টি জানা জানি হলে, সেটা গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে ধর্ষক মিজান (বাবার নাম হাবিজ উদ্দিন)কে ১০০ বার কান ধরে উঠবস করানোর রায় হয়। ভিডিওতে ধর্ষক মিজানের কান ধরে উঠবসের চিত্র।

এ সব লেখা সম্বলিত ও কানধরে উঠবসের ভিডিও চিত্র ফেইসবুকে ভাইরাল হলে গত ১৩ জুলাই শুক্রবার সকালে সরেজমিন কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষীপুর নজের বাড়ি এলাকায় ভিকটিমের বাড়ি গিয়ে কথা হয় ভিকটিমের মা- বাবার সাথে। তারা বলেন, তাদের ছেলে (১৪) ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে পার্শবর্তী বাড়ির মুদি ব্যবসায়ী হাবিজ উদ্দিনের ছেলে মিজান (২৫) এর ভৈরবস্থ জুতার কারখানায় কাজ শিখতে যায়। গত ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মিজান জুতার কারখানায় তাদের ছেলেকে জোর পূর্বক হাত- পা বেঁধে বলৎকার করে। এ ঘটনায় গত ৮ জুলাই রোববার সকালে ওই গ্রামের আঃ রেজ্জেকের বাড়িতে গ্রাম্য শালিসে মিজানকে ১০০ বার কান ধরে উঠবসের রায় হয়। শালিশে উক্ত রায় কার্যকর হওয়ার পর থেকে মিজান গ্রাম ছাড়া।

এ ব্যাপারে মিজানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলৎকারের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে ভৈরবে একটি জুতার কারখানা পরিচালনা করে আসছে। তিনি কোন শিক্ষক নয় দাবি করে বলেন, তার সাগরেদ ৬ জুলাই শুক্রবার সকালে তার ৪ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। তিনি আরো বলেন, তিনি সুন্নী মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে লক্ষীপুর নজের বাড়িতে প্রতি বছর ওয়াজ মাহফিল করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে তাদের এলাকায় একটি মাদ্রাসা নির্মাণের উদ্দ্যেগ নেওয়ার ফলে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সাগরেদকে ভিকটিম সাজিয়ে তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি শালিসের আয়োজন করে। শালিসে এলাকার প্রভাবশালীরা তার কোন বক্তব্য না শুনে তাকে ১শ বার কান ধরে উঠবসের রায় দেয়। রায় কার্যকরের সময় তার মান ইজ্জত ক্ষুন্ন করার জন্য কয়েকজন লোক ভিডিও করে তা ফেইসবুকে ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।

এ ব্যাপারে Our Kuliarchar – আমাদের কুলিয়ারচর এর এডমিন আলী হায়দার শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের পেইজের সংবাদ সংগ্রহদাতা মালোয়শিয়া থেকে এলাকার বেশ কয়েকজনের বক্তব্য নিয়ে ভিডিও এবং তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের পেইজে পোষ্ট করে। তারা শিক্ষক ও ছাত্র কিনা তা আমার জানা নেই।

আহালে সুন্নাতওয়াল জামাত এর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক রুবেল বলেন, আহালে সুন্নাতওয়াল জামাত মতাদর্শে বিশ্বাসী মিজানের ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ও অন্যায় ভাবে যারা শালিশে বে- আইনি ভাবে বিচারের রায় দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে এবং যারা ফেইসবুকে ও ইউটিউবে ভিডিও ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত লেখা পোষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধেও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আইনে যদি মিজান অপরাধী প্রমাণিত হয় তাহলে আইনে যে বিচার হয় তা আমরা মেনে নেবো।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tags: