muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কুলিয়ারচর

কুলিয়ারচরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনায় অনিয়ম

‘‘ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় ১৪ জুলাই শনিবার সকাল ৮ ঘটিকা হতে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলেও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনায় অনিয়ম পাওয়া গেছে।

জানা যায়, শনিবার সকাল ৮ ঘটিকা হইতে ৪ ঘটিকা পর্যন্ত কুলিয়ারচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৬৮ টি কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতিরিক্ত ১টি কেন্দ্র স্থাপন করে প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে স্বেচ্ছাসেবক, ১৬ জন সিএইচসিপি, ২১ জন এফডবলিওএ ও ২১ জন স্বাস্থ্য সহকারী সুপারভাইজার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২ হাজার ৯ শ ২৮ জন শিশুকে নীল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৭ শ ৫৪ জন শিশুকে ১টি করে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করার কথা।

সরেজমিন উপজেলার রামদী ইউনিয়নের পীরপুর কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৮.৫০ মিনিট সময় গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের সিএইচসিপি মাসুদ রানা সঠিক সময়ে কেন্দ্রে না থাকায় শিশুদের মাঝে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়নি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বুলবুল আহমদ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন খাতায় সিএইচসিপি মাসুদ রানাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে শিশুদের মাঝে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো উদ্ভোধন করেন। এ ব্যপারে সিএইচসিপি মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেন্দ্রে অনুপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অন্যান্য কেন্দ্র ভিজিটে ছিলাম। সকাল ৯.৩০ মিনিটে খিলেরবন্দ মডেল কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকে তালা ঝুলছে। এ ব্যাপারে খিলেরবন্দ মডেল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্লিনিক বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় ঘুরে অভিভাবকদের খবর দিয়ে ৯.৪৫ মিনিটে ক্লিনিকের তালা খুলে শিশুদের মাঝে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে দু’জন করে স্বেচ্ছা সেবক দেওয়ার কথা থাকলেও আমার কেন্দ্রে কোন স্বেচ্ছা সেবক না দেওয়ায় কাযক্রমের বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কেন্দ্রের সিএইচসিপি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল না পাওয়ায় তার কেন্দ্রে সঠিক সময়ে শিশুদের মাঝে ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮.৪৫ মিনিটে ক্যাম্পের কাজ শুরু করা হয়। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ বুলবুল আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিএইচসিপি মাসুদ রানাকে অনুপস্থিত দেখানোর কথা স্বীকার করে বলেন, মাসুদ রানাকে কেন্দ্রে না পাওয়া যাওয়ায় তিনি নিজে ৮.৫০ মিনিটে ক্যাম্পের কাজ উদ্ভোধন করেন। এ সব ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সব বিষয়ে কোন কিছু না বলে এড়িয়ে যান। এ সব বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tags: