কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে হামলা, বাড়ীঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাঠের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। গত ১০ জুলাই সকালে উপজেলার উত্তর সালুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উত্তর সালুয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র রাজিব (৩২) এর সাথে মৃত আব্দুল আলীর পুত্র মোঃ ফজলুর রহমান (৬৫) এর বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধ মীমাংসার লক্ষে গত ৯ জুলাই সোমবার কুলিয়ারচর থানায় একটি শালিসের আয়োজন করা হয়। শালিসে রাজীবের চাচা মৃত আব্দুল বারীর পুত্র ফুল মিয়া (৭০) রাজিবের পক্ষে স্বাক্ষী দেওয়ায় ফজলুর রহমান ও তার লোকজন ফুল মিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। পরদিন গত ১০ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ফুল মিয়ার ভাতিজা আকিব উল্লাহ (২৫) ও সায়মন (১৬) টাকা পয়সা ও পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকা একটি ট্রাভেলসে যাওয়ার সময় ডুমড়াকান্দা বাজার যাওয়ার কাঁচা রাস্তায় বাচ্চু খলিফার বাড়ী ও সাইদু মিয়ার বাড়ীর মাঝামাঝি স্থানে যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা ফজলুর রহমান ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রাধী নিয়ে আকিব উল্লাহ ও সায়মনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আকিব উল্লাহ ও সায়মনের ডাক চিৎকারে তাদের আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা তাদের উপরও হামলা করে । হামলায় সায়মন(১৬), কা ন (৪০) ও ফুল মিয়া(৭০) গুরুতর আহত হয় । এ সময় হামলাকারীরা রাজিবের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচূর , লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয়রা আহতেরদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ওই দিন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন । এ ঘটনায় সায়মনের পিতা মোঃ কুদ্দুস মিয়া বাদি হয়ে ঘটনার ২ দিন পর কুলিয়ারচর থানায় ফজলুর রহমানকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ ইসলাম উদ্দিন প্রতিপক্ষের উপর হামলা, ভাংচূর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমার চাচা সাইদুর রহমানের জায়গায় রোপিত বাঁশ-ঝাড় কেটে প্রতিপক্ষ জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করার সময় আমরা বাঁধা নিষেধ দিলে সালুয়া ইউনিয়নের কাজী মধ্য সালুয়া গ্রামের কাজী মোঃ আমান উল্লাহ’র নির্দেশে প্রতিপক্ষ দেশিয় অস্ত্রাদী নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে বাড়িঘর ভাংচূর ও লুটপাট করে। হামলায় আমার পিতা ফজলূর রহমান (৬৫), স্ত্রী পারভিন আক্তার (২৮) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন (১৮) আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের বাঁধার সম্মুক্ষিণ হয়ে কুলিয়ারচর থানায় খবর দিলে থানার কর্তব্যরত এসআই আরিফ রব্বানী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে প্রেরণ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর তার বাবা মোঃ ফজলুর রহমান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পর রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় প্রতিপক্ষের মামলার আসামী হয়ে একদিক থেকে পুলিশের ভয়ে অপর দিকে বিবাদীদের বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধুমকীর ভয়ে স্ব-পরিবারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।