নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর (চরভদ্রাসন) প্রতিনিধি ।। পদ্মার পাড় ঘেঁষে চরভদ্রাসন উপজেলা অবস্থিত।যার অধিকাংশ যায়গাই চরের মধ্যে অবস্থিত।আবার নদীভাঙার পর অধিকাংশ জনগনই চরাঞ্চলে বসবাস শুরু করে।প্রতিবছর নদীভাঙন এবং বর্ষার কারনে জনমানুষের জীবনযাত্রা খুবি নিম্নমানের। সঠিক চিকিৎসার অভাব ও দুষ্প্রাপ্যতায় এ এলাকার লোকজন বেছে নিয়েছে আদিম চিকিৎসা বা কবিরাজি ব্যাবস্থা। আবার অনেকে ফকিরামি বা ঝাঁড়-ফুঁকে বিশ্বাসি।তারই ধারাবাহিকতায় গত দের-দুই বছরে চরভদ্রাসন এলাকায় সাপে কামড়ে প্রায় ১০ জন মারা যায়।এদের মধ্যে অনেকে ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানেনা,কেউ সুযোগ পায়নি আবার কেউ ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক না।এভাবে চলছে এ এলাকার লোকজনের দিনকাল।
ভ্যাকসিনে সাপে কামড়ের রোগি ভালো হয় এ কথা এলাকার প্রয় অধিকাংশ লোক বিশ্বাস করেনা।আবার মনে করেন কোন সাপে কামড় দিছে তা তো দেখিনি তাহলে কিভাবে ভ্যাকসিন নিব।এ রকম নানান সমস্যার কারনে ভ্যাকসিন আজ ও অজ্ঞতার মধ্যে।
কিন্তু ভ্যাকসিনে রোগি ভালো হয় এরকমটাই জানালেন চরভদ্রাসন স¦াস্থ্য কম্পেলেক্সে কর্মরত ডা: জাহিদ ,তবে তিনি বলেন সাপে কামড় দেওয়ার সাথে সাথে ঐ স্থানের উপড়ে বাধ দিতে হবে।এবং দ্রæত সারা শরীরে বিষ ছড়ানোর পুর্বে হাসপাতালে এনে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
গত পড়শু চরভদ্রাসনের উত্তর আলমনগর এলাকায় আরিনা নামের ৩য় শ্রেনীর এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার সময় সাপে কামড় দেয়।তবে দ্রুত তাকে হাসপাতালে এনে ভ্যাকসিন দেওয়ায় সে এখন সুস্থ।তার মা জানায়,রাস্তার কাজে রাস্তার দু পাশে খোয়া ও কনক্রিট রাখায় আর বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ায় সাপ এখন রাস্থায় ঘুড়ে বেরায়।গত কয়েকদিনে ৩-৪ টি সাপ পাওয়া গেছে।আমাদের এলাকায় সাপের বংশ বিস্তার বন্ধ করতে হবে তা না হলে আমাদের বসবাস করা কঠিন। আরিনার পিতা আরিফ হোসেন উত্তর আলমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন।
Tags: