muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

সম্পাদকীয়

Militant গ্রুপগুলো ধর্মের ক্ষতি করছে বেশী: অধ্যাপক শরীফ সাদী

sharif sadi
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ফারাবী’র মত অনেকেই এ ভয়ংকর কাতেলের পথ ধরেছে। তারা উগ্র-অন্ধ। নিজের মত-পথ ছাড়া কিংবা নিজের ধর্ম ছাড়া ভিন্ন মত-পথ বা ভিন্ন ধর্মের অস্তিত্বকে স্বীকার না করা অথবা সহ্য না করা তরুন প্রজন্মের একটি অংশ ফারাবীদের সাথী।

এরা তাদের তাত্ত্বিক-দার্শনিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ক্কাতেলের পথে নেমেছে। তারা মনে করছে এটিই সত্যিকারের জিহাদী পথ। এটিই ইসলাম কায়েমের পথ। অথচ ইসলাম সাম্যের ধর্ম,শান্তির ধর্ম। ইসলাম সবচে’ বেশী সহনশীলতার ধর্ম,ধৈর্যের ধর্ম। পবিত্র কোরআনের বহু আয়াত আছে যেখানে ‘সবর’এর কথা বলা হয়েছে। কোরআনের অনেক আয়াতে liberalisation এর নির্দেশনা আছে,এক রকমের freedom of thoughts আছে। ভিন্নমতের কাউকে ক্কাতেলের কথা নেই। গলা কেটে ফেলতে হবে,পুড়িয়ে মারতে হবে তা কি আমাদের ইসলাম ধর্ম allow করে? সূরা আনআম-এ আছে,”যাহারা দ্বীন সম্মন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করিয়াছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়াছে তাহাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়,তাহাদের বিষয় আল্লাহর এক্তিয়ারভুক্ত”।

সূরা ইউনুস-এ আছে,”এবং তাহারা যদি তোমার উপর মিথ্যা আরোপ করে তবে তুমি বলিও,আমার কর্মের দায়িত্ব আমার এবং তোমাদের কর্মের দায়িত্ব তোমাদের,আমি যাহা করি সে বিষয়ে তোমরা দায়মুক্ত এবং তোমরা যাহা কর সে বিষয়ে আমিও দায়মুক্ত”। সূরা ইউনুসের আরেক জায়গায় আছে,”তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিলে পৃথিবীতে যাহারা আছে তাহারা সকলেই অবশ্যই ঈমান আনিত,তবে কি মুমিণ করিবার জন্য তুমি মানুষের উপর জবরদস্তি করিবে”?সূরা নীসার এক জায়গায় আছে,”কেহ রাসূলের আনুগত্য করিলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করিল এবং মুখ ফিরাইয়া লইলে তোমাকে তাহাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে প্রেরণ করি নাই”।

এ ছাড়াও অনেক আয়াত দেখানো যাবে যেখানে চিন্তার স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে,যেখানে ধৈর্যের কথা,সহনশীলতার কথা, পরমতসহিষ্ণুতার কথা আছে। ইসলাম ধর্মেই সত্যিকারের গনতন্ত্র। গ্রীসের সীমিত গনতন্ত্র নয়,মরুদ্যানে বৃহত্তর গনতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে ইসলাম ধর্মেই। ইসলাম ধর্ম অন্য যে কোন ধর্মের চে’ এতটাই progressive এখানে হিংসা-বিদ্বেষ-হিংস্রতার স্থান নেই। জোর-জুলুম,জবরদস্তির জায়গা নেই।

তাহলে বাংলাদেশে ছোট ছোট ধর্মীয় militant & violant গ্রুপগুলো কোত্থেকে কীভাবে সৃষ্টি হচ্ছে,কারা সৃষ্টি করছে? পাকিস্তান, আফগানিস্তান,ইরাক,সিরিয়া,নাইজেরিয়া, সোমালিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় জংগীত্ব যারা গড়ে তুলছে তারা প্রকারান্তরে আমাদের ধর্ম ইসলামেরই মারাত্বক ক্ষতি করে চলেছে। কোরান পড়ুন,সুন্নাহ পড়ুন,জংগীবাদের হাত থেকে শান্তির-সাম্যের ধর্ম ইসলামকে রক্ষা করুন।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৮-১১-২০১৫ইং/নিঝুম

Tags: