কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন আরও ২২ হাজার ১০১টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করে দেশের ১২টি জেলা ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২৩টি উপজেলার মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
এ উপলক্ষে এদিন করিমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জমিসহ গৃহপ্রাপ্ত ১২টি পরিবারকে জমিসহ গৃহের দলিল তুলে দেন উপজেলা প্রশাসক পলাশ কুমার বসু।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা খানম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইকবাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান মোল্লা, করিমগঞ্জ থানা অফিসার ইন-চার্জ (তদন্ত) খন্দকার হাফিজুর রহমান প্রমূখ।
ইউএনও পলাশ কুমার বসু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব দুঃখী নিঃস্ব মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণের জন্য আশ্রয়ের উপকরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ গৃহীত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে চতুর্থ পর্যায়ে ২য় ধাপে সর্বমোট ১৫২টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি কাগজপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে করে করিমগঞ্জে একজনও ভূমিহীন ও গৃহহীন নেই। আর কোনো কারণে নতুন করে কেউ ভূমিহীন এবং গৃহহীন হলে ওই সব পরিবারকে একই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে জানান উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।